স্বদেশ ডেস্ক:
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে কে না চান। তার ওপর এবার ঈদে আছে লম্বা ছুটি। তাই গতকাল শুক্রবার বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বাসের অগ্রিম টিকিট নিতে রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোয় ভিড় করেছিলেন বহু মানুষ। সকাল থেকেই সায়েদাবাদ, মহাখালী, গাবতলী বাস টার্মিনালে ছিল টিকিটপ্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়।
এদিন কাউন্টারগুলোয় ৭, ৮, ৯ এবং ১০ আগস্টের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হয়। কিন্তু সবচেয়ে চাহিদা ছিল ৮ আগস্টের টিকিটের। এদিকে আগাম টিকিট বিক্রির শুরুতেই এসি বাসগুলোয় বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও বাস মালিকদের দাবি, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এসি বাস আনা হয়। এগুলোর দামের পার্থক্য রয়েছে। তাই টিকিটের দামেও পার্থক্য থাকে।
গাবতলী বালুর মাঠের হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে কথা হয় একটি বেসরকারি ফার্মে চাকরি করা রানা হাবিবের সঙ্গে। তিনি বলেন, পঞ্চগড়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য আমার স্ত্রী এবং ছেলের জন্য ১০ আগস্টের দুটি টিকিট পেয়েছি। তাদের আগে আমি পাঠিয়ে দেব। চাকরির কারণে আমাকে পরে যেতে হবে। তবে এবার বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন জেলায় বন্যার কারণে যাত্রাপথে সড়কের অবস্থা কেমন থাকবে তা নিয়ে চিন্তিত আছি।
গাবতলী বাস টার্মিনালের সহকারী ব্যবস্থাপক জোসন আলী বলেন, ঈদে এবার লম্বা ছুটি পাওয়ার কারণেই অনেকেই সুবিধামতো সময়ে স্বস্তিতে যাত্রা করতে পারবেন। টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড় গতকাল থেকে বেড়েছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ আগস্ট ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষে ১১ থেকে ১৩ আগস্ট রবি, সোম ও মঙ্গলবার রয়েছে তিন দিনের সরকারি ছুটি। এর আগে ৯ ও ১০ আগস্ট শুক্র-শনিবার হওয়ায় দুদিন সাপ্তাহিক ছুটিও যোগ হচ্ছে। আবার ঈদের পর ১৪ আগস্ট বুধবার অফিস খোলা থাকলেও অনেকেই ওইদিন ঐচ্ছিক ছুটি নিচ্ছেন।
চাঁদ ওঠার কারণে ঈদ একদিন পিছিয়ে গেলে বুধবার ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার প্রয়োজনও পড়বে না। বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষেও রয়েছে সরকারি ছুটি। ১৬ ও ১৭ আগস্ট শুক্র ও শনিবার আবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে এবার ঈদে অনেক সরকারি চাকরিজীবীই টানা ৯ দিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন। তাই তারা গ্রামেও ধীরে সুস্থে রওনা হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাস প্রতিদিন ছেড়ে যাবে গন্তব্যে। এ ছাড়া সায়েদাবাদ থেকে যাবে দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোর বাস। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে উত্তরবঙ্গের নির্দিষ্ট কয়েকটি জেলা ও ময়মনসিংহ, শেরপুরের বাস ছেড়ে যাবে। এ ছাড়া ঈদে বিআরটিসির বাসও থাকবে যাত্রী পরিবহনে।